আজকের রুপার দাম বাংলাদেশে কত? জানুন হিসাব ও আন্তর্জাতিক প্রভাব
বাংলাদেশে রুপার দাম প্রতিদিনই পরিবর্তিত হয় আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় চাহিদা অনুসারে। অনেকেই জানেন না কীভাবে এই দাম নির্ধারণ করা হয় এবং ক্যারেট ভেদে পার্থক্য কতটা। আজকের এই তথ্যবহুল ব্লগ পোস্টে আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর জানব।
আজকের রুপার দাম বাংলাদেশে কত?
২০২৫ সালের জুন মাসে, বাংলাদেশে প্রতি ভরি (১১.664 গ্রাম) রুপার দাম গড়ে ২,৮১১ থেকে ১,৭২৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। এই দাম স্থানীয় বাজার এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটের ওঠানামার উপর নির্ভর করে।
আরো দেখুন: আজকের রুপার দাম কত
রুপার দাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
রূপার দাম নির্ধারণের নিয়ম প্রথমত, রূপার দাম নির্ধারণ হয় প্রতি গ্রাম বা প্রতি ভরির ভিত্তিতে। সাধারণত, স্বর্ণের মতো রূপার আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি ভরির রেট প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। রুপার দাম নির্ধারণে মূলত তিনটি বিষয় বিবেচনা করা হয়:
- 🔹 আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স রুপার মূল্য
- 🔹 স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার
- 🔹 ভ্যাট, মজুরি ও গলন খরচ
রুপার প্রকৃত দাম নির্ধারণ করতে প্রতি গ্রাম বা প্রতি ভরির দাম হিসেব করে ক্যারেট অনুযায়ী বিশুদ্ধতার হারে দাম কাটা হয়।
১৮ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট রুপার পার্থক্য কী?
রুপার ক্যারেট মানে হচ্ছে তার বিশুদ্ধতার পরিমাণ।
- ১৮ ক্যারেট: প্রায় ৭৫% বিশুদ্ধ রুপা
- ২২ ক্যারেট: প্রায় ৯১.6% বিশুদ্ধ রুপা
২২ ক্যারেট রুপা দেখতে আরও উজ্জ্বল এবং দামেও তুলনামূলক বেশি হয়। এছাড়াও, গহনার ক্ষেত্রে ২২ ক্যারেট বেশি ব্যবহৃত হলেও, দৈনন্দিন ব্যবহারে ১৮ ক্যারেটের চাহিদাও রয়েছে।
আরো জানুন : ডায়মন্ড চেনার উপায়
আন্তর্জাতিক বাজারে রুপার দাম কত এবং বাংলাদেশে তার প্রভাব কেমন?
আন্তর্জাতিক বাজারে রুপার দাম প্রতি আউন্স (৩১.১০৩ গ্রাম) হিসেবে নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি প্রতি আউন্স রুপার দাম ২৫ ডলার হয়,
তখন বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে স্থানীয় টাকার রেট এবং আমদানি খরচ অনুযায়ী।
সোনার সাথে রুপার দামের পার্থক্য
সোনা এবং রুপা—দুই ধরণের মূল্যবান ধাতুর মধ্যে মূল পার্থক্য মূল্যে। বর্তমানে ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি সোনার দাম যেখানে ১,৭৪,৫২৮ টাকার ওপরে, সেখানে রুপার দাম ২,৮১১ – ১,৭২৫ টাকার মধ্যে।
সোনার দামে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, ডলার রেট, ও জুয়েলারি চাহিদার বড় প্রভাব থাকে।
অন্যদিকে, রুপার দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং সহজলভ্য। ফলে সাধারণ ক্রেতারা ও ছোট ব্যবসায়ীরা রুপাকে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মনে করেন।